চিংড়ির রোগের প্রধান কারণসমূহ নিম্নরূপ-
১) পরিবেশের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাবলির পরিবর্তনজনিত কারণ
ক) ভৌত গুণাবলীর পরিবর্তন
- তাপমাত্রা অত্যধিক হলে বা অনেক কম হলে।
- পুকুরে/ঘেরে পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পৌঁছালে।
- পানির স্বাভাবিক রং আকস্মিক বিনষ্ট হলে।
- অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে বাইরের দূষিত পানি প্রবেশ করলে চিংড়ি রোগক্রান্ত হতে পারে।
খ) রাসায়নিক গুণাবলীর পরিবর্তন
- দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ ৫ মিলিগ্রাম/লিটার এর কম হলে চিংড়ি রোগাক্রান্ত হবে।
- ১-২ পিপিএম এর বেশি মাত্রায় দ্রবীভূত কার্বন ডাই অক্সাইড উপস্থিত থাকলে।
- শিল্পকারখানার বর্জ্য, কৃষি জমির কীটনাশক ঘেরে বা পুকুরে প্রবেশ করলে।
- পানির লবণাক্ততা অধিক বেড়ে গেলে বা কমে গেলে।
- পানিতে দ্রবীভূত বিষাক্ত গ্যাসমূহ যেমন- অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, নাইট্রাইট প্রভৃতি এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে
গ) জৈবিক গুণাবলীর পরিবর্তন
- ঘেরে চিংড়ির মজুদ ঘনত্ব অধিক হলে।
- প্লাংকটনের ঘনত্ব কমে গেলে।
- অনুজীবঘটিত রোগের আক্রমণে চিংড়ি রোগাক্রান্ত হতে পারে। যেমন- ভাইরাসজনিত রোগ, ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ ইত্যাদি।
- প্রোটোজোয়া বা এককোষী প্রাণিঘটিত রোগ।
- অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরজীবীঘটিত রোগ।
২) খাদ্যের অভাবজনিত কারণ
- চিংড়ির প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী খাদ্য উপাদান নির্ধারণ না করলে।
- প্রাকৃতিক খাদ্য যথেষ্ট পরিমাণে না হওয়া।
- পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য সংরক্ষণ না করা।
- খাদ্যের সঠিক গুণগতমান বজায় না রাখা।
- শরীরের ওজন অনুপাতে খাদ্য প্রয়োগ না করা।
৩) প্রযুক্তি বাস্তবায়নগত অসুবিধা
- সময়মত সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য প্রয়োগ না করা।
- সঠিকভাবে পোনা অভ্যস্তকরণ না করা।
- পোনা সঠিকভাবে পরিবহণ না করা।
- রোগাক্রান্ত দুর্বল পোনা মজুদ করা।
- সময়মত পানি পরিবর্তন না করা।
- সঠিক সময়ে রোগ শনাক্তকরণ এবং প্রতিকার না করা।
Content added By
Read more